শিরোনাম
Passenger Voice | ১২:৩১ পিএম, ২০২২-০৫-১৬
২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হবে। মার্চের মধ্যে সম্ভব না হলে জুনের মধ্যে অবশ্যই তা সম্ভব হবে। আর ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেল প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে ২০২৪ সালে।
গতকাল রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন মুন্সীগঞ্জ লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু প্রকল্পের রেললাইন স্থাপনকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে মাওয়া রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটারের মধ্যে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪২ কিলোমিটার এবং ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার অংশের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের কাজের অগ্রগতি ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ। আর মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ। আর ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।
এ সময় রেল লিংক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার আবু সাঈদ এবং মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক স্নেহাশীষ দাশসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন থেকে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ চালু করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু কারিগরি দিক বিবেচনায় পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় সেতুর উপরিভাগে রেললাইনের কাজ করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে জুনে সেতু উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পর জুলাই থেকে সেতুর উপরে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের রেললাইন ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার। চলতি বছর ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে এবং ২০২৪ সালের মধ্যে যশোর পর্যন্ত পুরো কাজ সম্পন্ন হবে।
এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। আর চায়না সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকা অর্থায়ন করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
বহুমুখী এ সেতুর নিচতলার এক পাশে বসেছে গ্যাস লাইন, আরেক পাশে সার্ভিস লেন। মাঝখানে থাকবে রেললাইন। পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনে আরো সময় লাগবে ছয় মাস।
পদ্মা সেতুর দুই পারের সাড়ে চার কিলোমিটার রেল সংযোগ সেতুতে বসেছে রেল ট্র্যাক। পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে ৭ দশমিক ১৫ কিলোমিটার রেল সংযোগ সেতুর মাত্র ২ দশমিক ৬৫ কিলোমিটারে রেল ট্র্যাক বসানো বাকি। ভায়াডাক্ট সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় বাকি অংশের পাথরবিহীন রেললাইন এখন দ্রুত সম্পন্ন হবে। পরে মন্ত্রী মাওয়া থেকে পদ্মা পাড়ি দিয়ে অন্য প্রান্তে মাদারীপুরে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে যান।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.